বলিউডে বিতর্কের রাণী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। হামেশাই তিনি কাউকে না কাউকে আক্রমণ করতে থাকেন। এবার অভিনেত্রী সন্দেহ করছেন তার পেছনে এক তারকা দম্পতি চর লাগিয়েছেন যারা তাকে প্রতিনিয়ত ফলো করে চলেছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে কঙ্গনা হুমকির সুরে বলেন, ‘শুধরে যাও, নইলে ঘরে ঢুকে মারব’। কিন্তু কাদের উদ্দেশ্যে এমন বলছেন কঙ্গনা? যদিও তিনি কারোর নাম নেননি তবে রেডিট ইউজারের মতে, কঙ্গনার অভিযোগের তীর রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের দিকে।
কঙ্গনা (Kangana Ranaut) লেখেন, ‘যারা আমাকে নিয়ে চিন্তিত তাদের উদ্দেশ্যে বলি, গত রাত অবধি আমার আশেপাশে কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেনি, কেউ ক্যামেরা নিয়ে বা ক্যামেরা ছাড়া আমাকে ফলো করেনি। দেখ যে ভূতেরা লাথি খেয়ে সোজা হয়, তারা লাথি খেয়েই সোজা হবে। চাঙ্গু মাঙ্গুর উদ্দেশ্যে মেসেজ: বাচ্চারা তোমরা কোনও দেহাতির পাল্লায় পরোনি। শুধরে যাও, নইলে ঘরে ঢুকে মারব। আর যে যে মনে করো আমি পাগল, তারা জানো যে আমি পাগল, কিন্তু আমি কত বড় পাগল সেটা তোমরা জানো না’।
অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমি যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই আমার পিছনে চরবৃত্তি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র রাস্তায় নয়, আমার বাড়ির পার্কিংয়ে, বাড়ির ছাদেও। আমাকে ক্যাপচার করার জন্য বড় বড় লেন্সের ক্যামেরা ফিট করেছে। সকলেই জানে, টাকার পরিবর্তে স্টারদের ছবি তোলে পাপারাৎজিরা। আমি বা আমার টিম কেউ পাপারাৎজিদের টাকা দিইনা। তাহলে কে তাঁদের টাকা দিচ্ছে? সকাল ৬.৩০টায়, ক্যামেরা নিয়ে হাজির। কী করে আমার শিডিউল জানছে? এই ছবি নিয়েই বা তাঁরা কী করবে? এমনকী সাত সকালে আমি আমার কোরিওগ্রাফি সেশন শেষ করে বেরিয়ে দেখি, বিশাল সংখ্যক পাপারাৎজি হাজির। কেউ ওদের টাকা দেয়নি, তাহলে রবিবারের সকালে এরা কেন এসেছে? আমি নিশ্চিত যে, আমার হোয়াটস অ্যাপের ডেটা লিক হচ্ছে, প্রফেশনাল ও পার্সোনাল দুটোই।’
কঙ্গনা লেখেন, ‘এক নেপো মাফিয়া জোকার যে একবার বিনা আমন্ত্রণে আমার বাড়িতে হাজির হয়েছিল, ওম্যানাইজার, ক্যাসানোভা, নেপো মাফিয়া ব্রিগেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বউকে প্রযোজক হতে বাধ্য করেছে, আরও বেশি নারীভিত্তিক ছবি করার জন্য, আমার মতো পোশাক রকে, আমার মতো বাড়ির অন্দরসজ্জা করেছে, এমনকী আমার স্টাইলিস্ট ও হোম স্টাইলিস্টকেও ভাড়া করেছে। বরের এইসব কার্যকলাপকে তোল্লাই দিচ্ছে সেই বউ যে বিয়েতে সেরকম শাড়িই পরেছিল যেটা আমি আমার ভাইয়ের রিসেপশনে পরেছিলাম। আমার এক কস্টিউম ডিজাইনার বন্ধুর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পরে সে ওদের সঙ্গে কাজ করছে। আমার বিজনেস পার্টনাররা শেষ মুহূর্তে কোনও কারণ ছাড়াই ঘুরে যাচ্ছে, ইনভেস্ট করতে চাইছে না। আমার মনে হয়, আমাকে গোটা জগত থেকে আলাদা করার চেষ্টা করছে। মেন্টাল স্ট্রেস দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও বলে রাখা জরুরি, এই পতি তাঁর স্ত্রীকে আলাদা ফ্লোরে রাখছেন। একই বিল্ডিংয়ে দুজনে আলাদা থাকেন তাঁরা। আমার মনে হয়, মেয়েটির উচিত ছেলেটির উপর নজর রাখা আর এটা মেনে না নেওয়া। মনে রাখা উচিত যে, যদি ওর স্বামী বিপদে পড়ে তাহলে মেয়েটি ও তাঁর সন্তানও বিপদে পড়বে। মেয়েটির উচিত নিজের জীবনের হাল নিজের হাতের রাখা আর দেখা ছেলেটি যাতে কোনও বেআইনি কাজে জড়িয়ে না পড়ে। ডিয়ার গার্ল ও তাঁর সদ্যোজাতকে অনেক ভালোবাসা।’
আরো পড়ুন: Lata Mangeshkar Death Anniversary : প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণে সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর!