বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক যে কত মধুর, তা বলার উপেক্ষা রাখে না।একটা সময় ছিল যখন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকার নিয়ে বিবেদ লেগেই থাকত।যদিও সে সব এখন অতীত।মিষ্টি মধুর সম্পর্ক আবদ্ধ বর্তমান রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী।এবার সেই রাজ্যপালের ইচ্ছা হয়েছে বাংলা কথা শেখার।অবশেষে সেই সুযোগ হতে চলেছে তার পূর্ন।

জানা গিয়েছে,সরস্বতী পুজোর দিনই হাতেখড়ি রাজ্যপাল।আর সেই হাতে ঘড়ি দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রাজভবনের তরফে পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্রও। স্লেট চক পেন্সিল নিয়ে ছোট কচিকাচারা যেমন মা সরস্বতীর কাছে হাতেখড়ি দেয়, তেমনই রাজ্যপালেরও হবে।

মূলত,রাজ‌্যপাল হিসেবে বাংলার দায়িত্ব নেওয়ার পরই সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বাংলাভাষা নিয়ে তাঁর ইচ্ছা-উত্‍সাহর কথা জানিয়েছিলেন। বড়দিনে বাংলাভাষায় বই লেখার ইচ্ছেপ্রকাশও করেছিলেন রাজ‌্যপাল। সেদিন এক অনুষ্ঠানে রাজ‌্যপালকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কাবুলিওয়ালা’ পড়েছি। ছোট্ট মিনির চরিত্রটা আজও আমার মনে দাগ কেটে আছে।

শুধু নিজের কথাই নয়, তাঁর পরিবারেরও যে বাংলাভাষার প্রতি আলাদা অনুরাগ আছে, সেকথাও বারবার শোনা গিয়েছে রাজ‌্যপালের মুখে। এমনকী, তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমি ‌’মালওয়ালি’ হলেও মন থেকে একজন বাঙালি। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তাঁর বাবা নেতাজির প্রবল অনুগামী ছিলেন। সেকারণেই তাঁর এবং তাঁর ভাইবোনেদের নামের সঙ্গে বোস জুড়ে দেন তিনি। বস্তুত এরাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে আসার আগেও কলকাতায় বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে গিয়েছেন তিনি। একটি ব্যাংকের কর্তা হিসাবে কলকাতায় ছিলেন। তখন থেকেই বাংলার সঙ্গে তাঁর একাত্মতা।

সেই আনন্দ বোসের ২৬ তারিখ ‘হাতেখড়ি’।তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে ওই দিনই আবার সাধারণতন্ত্র দিবস।আসলে রাজ্যপাল ঠিক করেছেন, বাংলায় বই লিখবেন তিনি। রাজ্যের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন ভাঙা ভাঙা বাংলাতেই। সেই শুভ উদ্যোগের সরকারি সূচনা হবে হাতেখড়ি দিয়েই।প্রসঙ্গত, ভাষা নিয়ে আগ্রহী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও বিভিন্ন রাজ্যের ভাষা শিখতে চান। বুধবার মেঘালয়ে গিয়ে সেখানকার ভাষা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি রাশিয়ান ও ভিয়েতনামী ভাষা ও জানেন।

 

আরো পড়ুন:Saugata Roy:’দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে সাংসদ সৌগত