বর্তমানে আবাস যোজনা (Awas Yojana) নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।তৃণমূল দলের নেতাদের ওপর একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে।এই আবহে আবাস যোজনা নিয়ে ফের পরিদর্শনে বৃহস্পতিবারই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের পরিদর্শনকারী দল।মূলত দু’টি দলে তিনজন করে আধিকারিকদের থাকার কথা।পৃথকভাবে কলকাতা বিমানবন্দর ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে তাদের।
এদিকে কেন্দ্রীয় গ্রামনোন্নয়ন দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে পাঠানো চিঠি পোস্ট করে বুধবার শুভেন্দু তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ‘আবাস যোজনার দুনীতির তদন্তের জন্য মন্ত্রী গিরিরাজ সিংজির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ ঘরগুলি পরিদর্শনের জন্য উপযুক্ত সিনিয়র অফিসারদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছে। গরিবদের বঞ্চিত করা দুর্নীতিবাজ চোরদের জেলে যেতে হবে।
কেন্দ্রের তরফে এদিন চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যকে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিটি দলে ৩ জন করে সিনিয়ার অফিসার থাকবেন। দুই জেলার প্রকল্প এলাকাগুলির যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। দরকারে নথিপত্রও যাচাই করবেন তাঁরা। যদিও, রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে অবশ্য তাতে আপত্তি করা হয়নি।
মূলত,বর্তমানে আবাস যোজনার নামের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের জেরে কয়েক লক্ষ নাম বাতিল হয়েছে আবাস যোজনা তালিকা থেকে। ইতিমধ্যেই সংশোধিত তালিকা হয়ে সেই তালিকা অনুমোদন দিয়েছে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব আবাস যোজনা নিয়ে বিস্তারিত বৈঠক করেছেন জেলাশাসকদের সঙ্গে। আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকে নির্দেশিকা মোতাবেক কিভাবে কাজ করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত সুপারিশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে বিভিন্ন জেলাগুলিকে।
তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাজ চলাকালীন নির্দেশিকা নিয়ে রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে। এর আগেও কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনে এসেছিল অবশ্য আবাস যোজনার অধীনে বাড়ির নাম বদলকে কেন্দ্র করে। তবে এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা এই পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে। ইতিমধ্যেই পরিদর্শনকারী দল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির থেকে তিনি প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন “আমি এই জায়গা থেকে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।আগে ওরা ১০০ দিনের টাকা দিক।”