পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম ঘুরে দলের কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল এদিন।সেইমতো নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সেখানে যান তিনি।

একেবারে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে বসিরহাটে গিয়ে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী।হিঙ্গলগঞ্জে বনবিবির মন্দিরে গিয়ে শাড়ি, ধুতি, মালা, মিষ্টি, ফল-সহ ঢালা সাজিয়ে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এরপরে বৃক্ষরোপণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।করেন বৃক্ষপুজো।তাঁর সঙ্গে ছিলেন বসিরহাটের তারকা সাংসদ নূসরত জাহান, মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী-সহ অন্যান্যরা। পুরোহিতদের দেন গামছা, শাল।

এদিন হিঙ্গলগঞ্জের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সুন্দরবনকে নতুন জেলা হিসাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানে একটু জনসংযোগের পর গাড়িতে উঠে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী।এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। আমি সুন্দরবন জেলা করছি। এই জন্য করছি, যে আপনাদের অনেক দূরে যেতে হয়। আমি অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র করছি। যাতে মানুষ চিকিত্‍সার ব্যবস্থা পায়।”

এদিন বনবিবি মন্দির পাকা করারও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন, মন্দির তৈরি হয়ে গেলে তিনি আবার আসবেন। তা ছাড়া, এই বনবিবি মন্দিরের সংলগ্ন এলাকার সঙ্গে কী ভাবে জলপথে যোগাযোগ করা যায়, সেই বিষয়টিতেও নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য এলাকায় হোম স্টে তৈরির করার পরামর্শ দেন। একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে বারবার বাঁধ ভাঙে সুন্দরবনে। এ প্রসঙ্গেও উদ্বেগের সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, “আমরা ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছি। এলাকার নদী গুলো বাঁধব। আমি কেন্দ্রের কাছে সুন্দরবন মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একটা প্ল্যান পাঠাচ্ছি।”

সূত্র মারফত খবর,এদিন সামশেরনগরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মঞ্চ থেকেই বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের পরিষেবাও প্রদান করা হবে এদিন। জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালের সিজারিয়ান বিভাগ, বারাসত পুর- কর্মতীর্থ, ২টি স্কুলের ছাত্র ও ছাত্রী নিবাসের উদ্বোধন হবে আজ।

 

আরো পড়ুন:Abhishek Banerjee : হঠাৎ নবান্নে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ অভিষেকের