চার ঘণ্টা অপারেশনের পরও হলো না শেষ রক্ষা।শনিবার রাতে নৈহাটিতে (Naihati) গুলিবিদ্ধ তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস নেতা জাকির হোসেনকে কল্যাণী হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরেও বাঁচানো গেল না।আর এই খবর আসতেই এলাকার শোকের ছায়া নেমে আসে।

তার সঙ্গে প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মীর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নৈহাটির শিবদাসপুর এলাকার বাসিন্দারা।তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর পরই মূল অভিযুক্ত আশিফুল ওরফে বাচ্চার বাড়িতে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এতদিন এই বাচ্চা এলাকার ত্রাস ছিলেন।তাঁর নামে ভয়ে কাঁপত গোটা গ্রাম।কিন্তু এলাকার প্রতিবাদী ছেলে জাকির হুসেনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এবার জ্বলছে গোটা শিবদাসপুর গ্রাম।

দেখা যায়,অভিযুক্তের বাড়িতে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর।গ্রামের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।এরপরই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে র‍্যাফ ও বিশাল বাহিনী।তবে সে যায় হোক এখনও পর্যন্ত অবশ্য মূল অভিযুক্ত ও অন্যান্যদের ট্রেস করতে পারেনি পুলিশ।তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলাচ্ছে শিবদাসপুর থানার পুলিশ।

এদিকে নৈহাটি বিধানসভার বিধায়ক পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick) এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন,’নৈহাটি বিধানসভার মধ্যে প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর পর এমন একটা অঘটন ঘটল।শিবদাসপুর এর আগে একটা সময় ২০০৩ সাল পর্যন্ত অপরাধমূলক এলাকা ছিল।তারপর এখানে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।এটা একটা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ঘটনাটা ঘটেছে।পুলিশ আসামীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। সে এলাকার কেউ না।’এখন এই ঘটনার অগ্রগতি কোন দিকে রূপ নেয় সেই দিকে নজর সবার।

উল্লেখ্য,শনিবার সন্ধেয় দু’টি বাইকে কয়েকজন দুষ্কৃতী নৈহাটির শিবদাসপুর থানার কন্দপুকুর এলাকায় আসে।রাস্তার পাশের লাইট বন্ধ করে জাকিরকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায় তারা।এমনকি বোমাও ছোঁড়া হয়।নিহত জাকির হোসেনের বুকে, পেটে ও হাতে গুলি লাগে।রাতেই কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে জাকির হোসেনের অস্ত্রোপচার করা হয়।ইউসুফ আলি মণ্ডল নামে আরও এক ব্যক্তি বোমার স্প্লিন্টারে জখম হন।রাতেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এদিকে পলাতক ঘটনার মূল অভিযুক্ত আশাবুল আলি।ইতিমধ্যে তার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

 

আরো পড়ুন:Dilip Ghosh:’সব দুষ্কৃতী তৃণমূলের নেতা হয়ে গিয়ে কাটমানি খাচ্ছে’ নৈহাটিকান্ডে বিস্ফোরক দিলীপ!