এবার নৈহাটি (Naihati) কান্ড নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।মূলত,কাঁকিনাড়া, নরেন্দ্রপুরের পর রাজ্যে ফের বোমাবাজি।ভর সন্ধ্যায় নৈহাটির (Naihati) কাছে শিবদাসপুরে গুলি-বোমাবাজি হয়।

জানা যায় এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জাকির হোসেন (৩৮) চায়ের দোকানে বসেছিলেন।সেইসময় ১০-১১ জন এসে তাঁকে ঘিরে ধরে।প্রথমে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোঁড়া হয়।তবে বোমাবাজিতে জখম হন আরেক তৃণমূল কর্মী ইউসুফ আলি।এরপর দুষ্কৃতীরা বন্দুক বের করে জাকির হোসেনকে লক্ষ করে গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী।দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে কল্যাণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।রবিবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।এদিকে বর্তমানে ইউসুফ আলি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন।

আর এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, ‘সারা পশ্চিমবঙ্গে গুলি-বন্দুক চলছে। তৃণমূলের নেতারাই তৃণমূলকে মারছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে, কাটমানি নিয়ে হচ্ছে, সিন্ডিকেট নিয়ে হচ্ছে। এখন তো পাড়ায় পাড়ায় গুলি বন্দুক বোমাবাজি চলছে। সব দুষ্কৃতী তৃণমূলের নেতা হয়ে গিয়ে কাটমানি খাচ্ছে। পুলিশ তৃণমূলের লোক বলে গায়ে হাত দেয় না। প্রতিনিয়ত এমন চলছে। সাধারণ মানুষের জীবন ব্যতিবস্ত হয়ে পড়েছে।’

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা যে দলেরই হোক শাস্তি চাই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় শান্তি স্থাপন করতে হবে। পুলিশ তদন্ত করছে। নিশ্চই অপরাধীরা গ্রেফতার হবে।’

প্রসঙ্গত,একটাসময় তত্‍কালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও বলেছিলেন,বারুদের স্তুপে পরিণত হয়েছে রাজ্য।একুশ থেকে বাইশের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অসংখ্য বোমা ফেটে দুর্ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।সে ভাটপাড়া হোক,কিংবা কাঁকিনাড়া।উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি বাদ যায়নি রাজ্যের অন্যান্য জেলাও।যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কড়া নজর রাখছে রাজ্য পুলিশ।একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বটেই।তবুও ফের নৈহাটির এই ঘটনায় তোলাপাড় রাজ্য-রাজনীতি।

 

আরো পড়ুন:Dilip Ghosh:ভাইফোঁটার দিনে রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারকে দুষলেন দিলীপ!