অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ!অবশেষে একবছর পর আবারো মর্তে পদার্পণ করেছে মা দুর্গা।কিন্তু সেই উৎসবে কি বন্ধ থাকবে দুর্নীতির জোট খোলা?মূলত,এই মুহূর্তে গরু পাচার,কয়লা পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে।নেতা,মন্ত্রী সহ একাধিক প্রভাবশালী ইতিমধ্যে এই সমস্ত মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছে।পুরোদমে চলছে তদন্তের কাজ। উত্‍সবের মরশুমে তদন্তের কাজে যাতে ব্যাঘাত না হয়,তাই পুজোর মরশুমেও বাতিল করা হলো সিবিআই আধিকারিকদের ছুটি।

উল্লেখ্য,শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেপ্তার করেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ট বান্ধবীকে।এরপরই পরবর্তীতে সিবিআই পার্থকে নিজের হেফাজতে নেয়।একই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন দুই সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে।

এদিকে,গরুপাচার মামলায় ২০২০ সালে গ্রেপ্তার করা হয় বিএসএফ কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমারকে। ২ ডিসেম্বর জামিন পান তিনি। এরপর ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এনামুল হক। ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিন পান তিনি। এদিকে, ২০২১ সালের মার্চে ইডি প্রথম দিল্লি থেকে বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করে। ২০২২ সালের ১০ জুন সায়গল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছুদিন আগে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে।এর সাথে নাম জড়াচ্ছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির।

এর সাথে কয়লা পাচার কান্ডেও চলছে চিরুনি তল্লাশি।নাম জড়াচ্ছে একাধিক হেভিওয়েট নেতার।এবার এই মামলায় হাজতে কে যায়?সেই দিকে চোখ সবার!

 

আরো পড়ুন:CBI:১১ বছর আগে তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখলো হাইকোর্ট!