দুর্গা পুজোর পরেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে আবার দুয়ারে সরকার শিবির।বুধবার নবান্নের(Nabanna) তরফে এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।মূলত,এ বছর অক্টোবর মাসেই দুর্গাপুজোর সঙ্গেই লক্ষ্ণী ও কালী পুজো। পাশাপাশি, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই জগদ্ধাত্রী পুজো-সহ রাস পূর্ণিমার মতো উত্‍সবগুলিও শেষ হয়ে যাবে।তাই আর কালবিলম্ব না করেই নভেম্বর মাসের শুরুতেই হতে পারে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির।

বুধবার রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এবার ২৫টি বিষয়ে পরিষেবা মিলবে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে।১-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্প।যেখানে মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী সমস্ত প্রকল্পে নিজেদের অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন।আর ১-১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি।এখানেও স্থানীয় সসম্যা নিয়ে গেলে সমাধান করে দেওয়া হবে।

নবান্নের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, যে ২৫ টি প্রকল্পের পরিষেবা পাওয়া যাবে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে সেগুলি হল, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, কৃষক বন্ধু, ঐক্যশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং সংযুক্তিকরণ, আধার কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ, কৃষি জমির মিউটেশন, বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, মত্‍স্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, কেসিসি (এগ্রিকালচার), কেসিসি (প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন), তাঁতিদের জন্য ক্রেডিট কার্ড-সহ আরও কয়েকটি প্রকল্প।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের পরামর্শে রাজ্য জুড়ে ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবির বসায় রাজ্য। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় ওই শিবিরগুলি থেকে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই জানিয়েছিলেন, পুজোর পরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে। বুধবার সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।