বিজেপির নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) আহত হয়েছেন বহু পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্য কলকাতার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিত্ চট্টোপাধ্যায়।
বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি তিনি। তাঁকে দেখতে বিকেলে হাসপাতালে যেতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন প্রচুর পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মধ্য কলকাতার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিত্ চট্টোপাধ্যায়, জোড়াবাগান থানার অতিরিক্ত ওসি সরফরাজ আহমেদ।
মহাত্মা গান্ধী রোড ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে দু’জনকে ঘিরে ধরে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে গণধোলাই দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আতঙ্কে পুলিশকর্মীরা দূরে সরে গেলে গাড়িতে আগুন লাগায় তিনজন।
নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) লালবাজারের সামনে ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানা, পুলিশকে ইট দিয়ে হামলার অভিযোগে বউবাজার
থানা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বড়বাজার
থানা, ওসিকে মারধরের অভিযোগে বড়বাজার থানা, অতিরিক্ত ওসিকে
মারধরের অভিযোগে জোড়াসাঁকো থানা, হাওড়া ব্রিজের কাছে গোলামালের অভিযোগে উত্তর বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
রাতেই সিসিটিভি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে বেলেঘাটা ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃতদের নাম রবিকান্ত সিং, অনুপ সিং, সাহিল রায়, অভিজিত্ রায়। যদিও এখনও তল্লাশি চলছে, গ্রেপ্তারির সংখ্যা বাড়বে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আহত পুলিশকর্মী দেবজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে বুধবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকালে ওই এসিপিকে ফোন করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর শারিরীক অবস্থার খোঁজ নেন তিনি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে। পুলিশকে মারধর ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ঘটনায় সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।
মঙ্গলবারই বিজেপির এই অভিযানের নিন্দা করে টুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের ডাক দিয়েছিলেন।