পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতার কাণ্ডের স্মৃতি যেনো আবারও ফিরে এলো।সেই কোটি কোটি টাকা,সেই টাকা গোনার মেশিন।মূলত ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে রাজ্য রাজনীতির দুর্নীতি।এরইমধ্যে আবার শনিবার টাকার পাহাড় সামনে আনলো ইডি।শনিবার সাতসকালে শহর কলকাতার বুকে ফের তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ইডি)।কারণ অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির খানের বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য আসে ইডির (ED) হাতে।

জানা গেছে নিউটাউন (Newtown) সঞ্জীবা টাউন ডুপ্লেক্স আবাসনের ফোর ডি এল ফ্ল্যাটে প্রতিদিন যেতেন আমির।তার সঙ্গে থাকতেন এক মহিলা। মাঝেমধ্যে একসঙ্গে নিশিযাপন করতেন তারা। ইতিমধ্যে সেখানে থাকা কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক সহ নানান গ্যাজেটস সিজ করা হয়েছে। প্রথমে মহিলা একা থাকলেও পরবর্তীকালে আমির খানের নামে এগ্রিমেন্ট হয় ওই ফ্ল্যাটের, স্থানীয় সূত্রে খবর। প্রতিদিন অনলাইনের মাধ্যমে খাবার আসতো। দিন দশেক আগে নতুন করে এগ্রিমেন্ট হয়।

সূত্রের খবর,শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নিউটাউন, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি-সহ ছয় জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। তবে সেই অভিযান শুরুর পর থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও আমিরের হেফাজতে ঠিক কত টাকা রয়েছে, তা জানা যাচ্ছিল না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর অবশেষে দুপুরে ইডি জানিয়ে দেয়, আমিরের দোতলার বাড়ি থেকে সাত কোটিরও বেশি টাকা পাওয়া দিয়েছে। পরে জানা যায় যে টাকার পরিমাণ আট কোটি। সন্ধ্যার দিকে তা বেড়ে ১৫ কোটিতে পৌঁছায়। আমিরের দোতলার বাড়ির একটি ঘরের খাটের তলায় অসংখ্য প্লাস্টিকের থলিতে ভরা ছিল থরে থরে নোটের বান্ডিল। তাতে ৫০০ এবং ২০০০ টাকা নোট রাখা ছিল।ওই টাকা গুনতে স্টেট ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সাহায্য নেওয়া হয়।এই টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে শনিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে

ইডি জানিয়েছে, নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমির খানের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি প্রতারণা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।আমির-সহ একাধিক ব্যক্তি একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বহু গ্রাহককে প্রতারণা করেছেন।এ নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে মামলা রুজ করা হয়েছে।এই মামলার তদন্তে নেমে শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি।আমিরের গার্ডেনরিচের বাড়ি ছাড়াও তাঁর নিউটাউনের অফিস থেকেও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।এছাড়াও শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজও পাওয়া যায় এদিন।

 

আরো পড়ুন:ED: বেআইনি চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালালো ইডি, বাজেয়াপ্ত ১৭ কোটি টাকা