চিটফান্ডের (Chitfund) শিকড় কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে তত্‍পর গোয়েন্দারা।আর সেই দুর্নীতির কান্ডারীর প্রাদুর্ভাব জানতে রবিবাসরীয় সকাল সকাল বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।এছাড়াও তল্লাশি চালানো হচ্ছে সুবোধের ভাই তথা কাঁচরাপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও। সুবোধ এবং কমল দু’জনেই হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত।

এই প্রসঙ্গে সিবিআয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,বীজপুর বিধানসভার ছয় জায়গাতে অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা।এই তালিকায় রয়েছে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়ি, কাচড়াপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর বাড়ি, কাচড়াপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর ঝুম্পা সিং-এর বাড়ি। এছাড়াও রাজু-ঘনিষ্ঠ আরও তিন জায়গাতে সিবিআই হানা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে ৫ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের আদালত। শুক্রবার তাঁকে তার নিউ টাউনের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজুর বাড়ি থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। ধৃত রাজু সাহানি বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি স্থানীয়দের। সেই সূত্র ধরেই এবার বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই।

অন্যদিকে সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেওয়ার মাঝে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিজেপি দ্বারা প্রভাবিত বলে মন্তব্য করলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। সৌগত রায় বলেন, ‘সিবিআই সিবিআই-এর কাজ করছে। আমরা আমাদের কাজ করব। সিবিআই এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ করছে না। এখানে ওখানে অভিযান চালাচ্ছে, অ্যারেস্ট করছে। সে তো পরে প্রমাণ হবে কে দোষী, কে না দোষী। আমরা তো বলছি সিবিআই ও ইডিকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি ব্যবহার করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।’

 

আরো পড়ুন:TMC:এবার রাজনীতির ছোঁয়া পেলো টি-শার্টেও!অভিষেকের অনুপ্রেরণায় ‘বড় পাপ্পু’ টি-শার্ট প্রচারে তৃণমূল