দুর্নীতি ইস্যুতে আদালতে ফের ধাক্কা রাজ্যের।প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)।শুক্রবার এমনই রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট।মূলত খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের আবেদন।মূলত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তাঁর নির্দেশ, সিবিআই সিট তদন্তের।

সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা। সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল আগেই। স্থগিত ছিল রায়দান। শুক্রবার সকালে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ৮৫ পাতার নির্দেশনামা দিয়ে বহাল রাখল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই। অর্থাৎ টেট দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই-ই (CBI)। পাশাপাশি এদিন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর অপসারণের সিদ্ধান্তও বহাল রাখা হল।

প্রাথমিক শিক্ষক মামলায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি নিয়োগে গরমিল থাকার অভিযোগে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছিস সিঙ্গল বেঞ্চ। একইসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশও বহাল থাকবে বলে এদিন জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সিবিআই-এর রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে অনেকেই টেট ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ২৬৯ জনকে কোনওভাবেই পুনর্বহাল নয়। এককথায় ২৬৯ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশে সিলমোহর দিল ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত এদিন স্পষ্ট আরও জানিয়ে দিল যে, এই ২৬৯ জন বরখাস্ত প্রার্থী দ্রুত শুনানির আর্জিও জানাতে পারবেন না।

 

আরো পড়ুন:Biman Basu:বামফ্রন্টের আমলে চিরকুট দিয়ে কখনও চাকরি হয়নি:বিমান বসু!