গত বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ‘দিদি কে বলো’ কর্মসূচী শুরু হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। এর পর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তাঁর নিজের সাংসদ এলাকায় প্রথমে শুরু করেন ‘এক ডাকে অভিষেক’।এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁর সংসদীয় এলাকায় সব রকম অসুবিধা বা অভাব অভিযোগ থাকলে এই হেল্প লাইনে ফোন করে জানানো যায় অভিযোগের কথা। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের এই উদ্যোগ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। আর এই কাজ যে ঠিক ভাবে হচ্ছে তার প্রমান মিলল আবার।
এমনিতেই স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই নাগরিকদের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই প্রকল্প ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও ইদানিং বারবার বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে পরিষেবা ঠিকমতো না দেওয়ার।
তেমনি অভিযোগ উঠল বজবজের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।জানা যায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীকে প্রত্যাখ্যান না করা হলেও সেখানে যুক্ত করা হচ্ছিল বাড়তি বিল।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নির্দিষ্ট কিছু টাকা পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।এর পরের টাকা রোগীর পরিজনদের দিতে হবে।রোগীর চিকিত্সার পর পরিজনদের কাছ থেকে নানা খাতে বাড়তি টাকা নিচ্ছিল ওই হাসপাতাল।রোগীর পরিবার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোগী ভর্তি সময় যে ফর্ম ফিলাপ করা হয়, তাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
আর এই সমস্যা থেকে রেহায় পাবার জন্য ওই রোগীর পরিবার এক ডাকে অভিষেক হেল্প লাইনে ফোন করে।আর ফোন করা মাত্রই নাকি বজবজের ওই বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছান স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।ওই আধিকারিকদের দল অভিযোগ মতো ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।ফলে যাঁরা এই হেল্পলাইনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরাও খুশি।