সৌন্দর্যচর্চায় তুলসী জুড়ি মেলা ভার । প্রাচীনকাল থেকে তুলসী যুগ যুগ ব্যবহার ধরে হয়ে আসছে। তুলসী তে আছে আছে হাজারো ঔষুধি গুনাগুন। রূপ চর্চার জন্য তুলসীর খ্যাতি যুগ যুগ ধরে। তুলসী কে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া উপাদান যার চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।

 

চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বানিয়ে ফেলুন তুলসী(Tulsi ) পাতা দিয়ে আয়ুর্বেদিক তেল। চুল শক্ত করতে, চুল পড়া কমাতে ও চুলের অকালপক্ক রোধ করতে তুলসি পাতা খুব কার্যকরী।এই তেলের মিশ্রণটি তৈরির জন্য ১০-১২ টি তুলসি পাতা, আধা কাপ নারিকেল তেল ও ৪-৫ টি মেথি লাগবে। প্রথমে তুলসি পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অন্য একটি পাত্রে নারিকেল তেল গরম করে এতে তুলসি পেস্ট দিয়ে কিছুটা গরম হলে মেথি দিয়ে দিতে হবে। সকল উপাদান একসাথে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ছেঁকে রেখে দিন সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করবেন।

 

 

বাটিতে দুই চামচ হেনা পাউডার, এক চামচ মেথি বীজ, দুই চামচ তুলসি পাতার পেস্ট, তিন চামচ কফি পাউডার, তিন চামচ মিন্ট পাতার জুস এবং এক চামচ দই মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি প্রতিদিন চুলে লাগাতে শুরু করুন। এভাবে নিয়ম মেনে নিয়মিত এটা করলে সাদা চুল নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে না।

 

চায়ের ( Black tea)সঙ্গে তুলসী(Tulsi ) পাতা ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণটি চুলে দিন। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে যেমন চুলে রং হবে, তেমনই খুসকি থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।

 

 

আপনার চুল এবং মাথার ত্বকের জন্য একটি দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার হওয়ার পাশাপাশি, নারকেলের দুধে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। আপনি আপনার চুল ধোয়ার আগে তিন টেবিল চামচ নারকেল দুধ, দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল কিছু তুলসী (Tulsi ) দিয়ে ব্যবহার করে একটি হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন এবং আপনি আপনার মাথার ত্বকে কম দৃশ্যমান সাদা ফ্লেক্স লক্ষ্য করবেন।

Image source-google