রাজ্যে (West Bengal) একের পর এক ন্যক্কারজনককর জনক ঘটনা। বুদ্ধিজীবীদের অনুপস্থিতিকে নিয়ে এবার তোলপাড় হয়ে উঠল নেট দুনিয়া। বলতে শোনা গেল, মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ গুলো এখন গর্তে লুকিয়ে আছে। প্রসঙ্গত বলা যায়, নন্দীগ্রাম (Nandigram) সিঙ্গুর নেতাই মত ঘটনা যেভাবে বুদ্ধিজীবীর একাংশ রাজ্যের সেই সময়কার রাজ্য সরকারকে কার্যত বিপাকে ফেলে তীব্র প্রতিবাদ নামিয়ে এনেছিল।
তার ঘটনার সূত্রপাত ধরেই বর্তমান ঘটে যাওয়া রাজ্য রাজনীতি আঙিনায় বর্তমান রাজ্যে ন্যক্কারজনক ঘটনা সরাসরি অথবা কোন প্রতিবাদী ভাষা প্রকাশ না পাওয়ায় তোলপাড় হয়ে উঠছে নেট দুনিয়া। তবে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত বর্তমান রাজ্য সরকারের সময়কালের মধ্যে দাঁড়িয়ে বহু ন্যাক্কারজনক ঘটনা সামনে আসলেও তার প্রতিবাদ বুদ্ধিজীবি মহল থেকে আসেনি।
তাই বুদ্ধিজীবীদের উপর এই ধরনের অভিযোগের আঙুল উঠছে বলেই মনে করছেন তারা। নেটদুনিয়ায় উঠে আসা বহু সাধারন মানুষের বক্তব্য, এরা সব ভাড়ায় খাটে পয়সা দিলে আসবে। তার পাশাপাশি ইউ বলতে শোনা যায়, এই জামানায় এরা সব বড় বড় পদ পেয়েছে। তাই পদ হারানোর ভয়ে এরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছেন।
তবে নেটদুনিয়ায় প্রতিবাদী সাধারণ মানুষের ব্যাখ্যা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় বর্তমান রাজ্য সরকারকে কাঠ গড়ায় তুলবে না বলেই এই বুদ্ধিজীবীর একাংশ মোমবাতি হাতে নিয়ে রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছে। প্রসঙ্গত বলা যায় রাজ্যে আনিস হত্যা থেকে শুরু করে বীরভূমে (Birbhum) রামপুরহাটে পুড়িয়ে মারার ঘটনা বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদী চেহারা সামনে আসেনি বলে নেটদুনিয়ায় এইভাবে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের।
তবে এই বিষয়ে বিরোধীদের একাংশের দাবি, প্রাক্তন রাজ্য (West Bengal) সরকারের আমলে যেসব বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম কিংবা জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষের পাশে যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের একাংশ পাশে দাঁড়িয়েছিল, তারা সবাই এখন বর্তমান রাজ্য সরকারের সুবিধাভোগী হয়ে ওঠাই তাদের মুখে প্রতিবাদের ভাষা নেই, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন। তবে যেভাবে নেট দুনিয়ায় প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে তাতে বর্তমান রাজ্য সরকারকে এই বুদ্ধিজীবীদের চুপ থাকা নিয়ে কার্যত ব্যাকফুটে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছে একশ্রেণীর সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন : Girl’s hostel: হিন্দু হোস্টের দখলের পর প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা এবার দখল নিল গার্লস হোস্টেল