দীর্ঘ ২৩ বছর পর সরাসরি এবার প্রার্থী হিসেবে মেদিনীপুর পৌরসভা ২০২২ নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য ঘরের ছেলে উপর ভরসা রাখল শাসক দল তৃণমূল (TMC)। ১৯৯৮ সালে কেশপুর আন্দোলনের মোহাম্মদ রফিকের হাত ধরে পার্টিতে প্রবেশ। তারপর দীর্ঘ লড়াই আন্দোলনের পর মেদিনীপুর শহরে তৃণমূল যুব সংগঠনকে মজবুত করা, ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুব শহর সভাপতি হিসেবে ও পরবর্তীকালে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং তারপর ২০১৮ থেকে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। দীর্ঘ ২৩ বছর রাজনৈতিক জীবনে দেওয়ালে পোস্টারিং থেকে দেওয়ালের চুন করা সব কিছুটাই করতে হয়েছে সৌরভ বসুকে (Sourav Basu)।
রাজনীতি জীবনে সংগঠনকে মজবুত করতে রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথমবার পার্টির টিকিটে প্রার্থী হিসেবে সৌরভ বসু। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ মানুষের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, গত ১৫ বছর ধরে তিনি যেভাবে মানুষের পাশে থেকে এসেছেন তাতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী, রবিবার ঘাসের উপর জোড়াফুল চিহ্নে ২ নম্বর বোতাম টিপে ভোট দিয়ে তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্যে।
আরও পড়ুন : TMC : সৌরভ বসুর উপর ভরসা রাখছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
সৌরভ বসু (Sourav Basu) জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্যে কাজ করে গেছেন। ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্নভাবে পরিষেবা দিয়ে এসেছেন। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, BPL তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণ, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, বিদ্যুৎ সংযোগ, বহু ছেলে মেয়ের পড়াশুনার জন্য বই কিনে দেওয়া থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার মতো কাজও করেছেন তিনি। এছাড়াও পুজোর সময় শীতবস্ত্র প্রদানের মধ্যে দিয়েও মানুষের পাশে থেকেছেন তিনি।
সৌরভ সব দিন মানুষের বিপদের সময় রং না দেখে সকলের উপকার করে গেছে। তবে এ বিষয়ে বিরোধীদের মত সৌরভ ছাড়া এই মুহূর্তে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যোগ্য নেতৃত্ব কেউ নেই।
তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ধারণা দীর্ঘ ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে জয় লাভ নয়, আগামী দিন অর্থাৎ ভবিষ্যতেও মানুষের জন্য কতটা কাজ করতে পারে তার দিকে তাকিয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহল।