বিধানসভার কর্তব্য থাকেরাজ্যপালের (jagdeep) ওপর। সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে সম্মতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন রাষ্ট্রপতি। স্পিকারের পরামর্শে সমাপ্তি বিজ্ঞপ্তিও জারি করে রাষ্ট্রপতি ভবন।
বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই কর্তব্য ন্যস্ত রাজ্যপালের উপর। একটু আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বিধানসভার আগের অধিবেশনের সমাপ্তি সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
সেই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তির কপি টুইট করেছেন তিনি। তা নিয়েই খানিক শোরগোল শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
অনেকেরই ধারণা হয় ধনকড় চলতি বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার মতো কোনও কঠোর, অভাবনীয় পদক্ষেপ করেছেন।
শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে সংবাদমাধ্যম রাজ্যপালের এমন বিজ্ঞপ্তির কারণ জানতে চেয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
স্পিকার জানান, এটা রুটিন বিজ্ঞপ্তি। পরের অধিবেশন শুরুর আগে আগের অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করে একটি বিজ্ঞপ্তি রাজভবন থেকে জারি করা হয়ে থাকে।
রাজ্যপাল সেই বিজ্ঞপ্তিই জারি করেছেন। এটা রুটিন ব্যাপার। একপরই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের (jagdeep) টুইট নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন।
বলেন, এটাও কি টুইট করার মতো বিষয়? একটা রুটিন বিষয় নিয়ে টুইট করার কী আছে? এটাও প্রচার পাওয়ার চেষ্টা কি না মানুষ বিচার করবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বাজেট অধিবেশন আগামী মাসের গোড়ায় বসবে। রাজ্য সরকার এখনও দিন চূড়ান্ত করেনি। অধিবেশনে ২০২২-‘২৩ আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার আগেও রাজ্যপালকে বাজেট অধিবেশন বসার সরকারি সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। অধিবেশনের উদ্বোধনও করবেন রাজ্যপাল।
নবান্ন-রাজভবন চলতি বিতর্কের প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে এবার কৌতূহল তৈরি হয়েছে। রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণ পাঠ করতে হয়।