রাজ্যে করোনা গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টায় ৩রা জানুয়ারি থেকে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার।
স্কুল-কলেজও বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু সরকারি সেই নিষেধাজ্ঞাকে রীতিমতো তুচ্ছ করে নদিয়ার একটি কলেজে ধূমধাম করে পালন করা হল নবীন বরণ উৎসব।
আর এই উৎসবের উদ্যোক্তা রাজ্যের শাসকদলেরই ছাত্র সংগঠন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁদের বিরুদ্ধে এমনই বিধিভঙ্গের অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে নদিয়া।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নদিয়ার আসাননগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজে নবীন বরণ উৎসব পালিত হয়। সূত্রের খবর কোভিড বিধি উপেক্ষা করেই কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে একেবারে ধূমধাম করে কলেজ চত্বরেই চলে নবীন বরণের অনুষ্ঠান।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেখানে গেলে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে।
তবে করোনা বিধি-নিষেধ আরোপিত থাকার পরেও কীভাবে নবীন বরণ উৎসব হল এবং তাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে অনুমতি দিল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শাসকদলের ছাত্র সংগঠনই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে। যদিও TMCP এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ওই এলাকার পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা।
কলেজে নবীন বরণ উৎসবের কড়া নিন্দা জানিয়ে নদিয়া জেলা উত্তরের BJP-র মিডিয়া কনভেনার সন্দীপ মজুমদার বলেন,
‘রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই বিধি-নিষেধ শুধু সাধারণ মানুষের জন্য।
নদিয়ার মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজে নবীন বরণ উৎসব হল। যে দল বিধি-নিষেধ আরোপ করছে,
সেই দলেরই ছাত্র সংগঠন ধূমধাম করে কোভিড বিধি অমান্য করে প্রশাসন, কলেজ কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিয়ে নবীন বরণ উৎসব পালন করছে।
রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি মানছে না তৃণমূলেরই ছাত্র সংগঠন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিড-বিধি মেনে চলার ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁর দলের সমর্থকরাই সেই বিধি মানছে না।’
এই প্রসঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, কেবল বিরোধীদের উপর প্রশাসন চালাবে রাজ্য প্রশাসন?
তবে কি শুধু সাধারণ মানুষের জন্যই বিধি-নিষেধ? বিরোধীদের আটকানোর জন্য বিধি-নিষেধ?
তৃণমূলের জন্য কি সবকিছুতে ছাড় আছে? তৃণমূল কি বিধিনিষেধের ঊর্ধ্বে?