নতুন বছর পড়তেই রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট।
সোমবার থেকেই রাজ্যে জারি হয়েছে একাধিক নিয়ম-নিষেধাজ্ঞা।
এই পরিস্থিতিতে বাকি পুরভোটগুলির ভবিষ্যত নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
তবে পুরভোট(Corporation vote) নিয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সোমবার বিকেলেই করা হবে প্রশাসনিক বৈঠক।
তড়িঘড়ি এই জরুরি বৈঠক ডাকল রাজ্যের নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, আগের জানান তারিখ মত ২২ তারিখেই হচ্ছে পুরভোট।
সোমবার বিকেলের বৈঠকে থাকবেন মুখ্য ও স্বরাষ্ট্রসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিব। ভোট হলে তা কী পদ্ধতিতে হবে তা নির্ধারণেই বৈঠক।
আগামী ২২শে জানুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর এবং চন্দননগর পুরনিগমে ভোট হওয়ার কথা৷ ২৫ জানুয়ারি সেই ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার কথা৷
গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বকেয়া মোট ১১৪টি পুরভোটের(Corporation vote) (৫টি পুরনিগম ও ১০৯টি পুরসভা) দিনক্ষণ সম্পর্কে কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু রাজ্য সরকার ৩রা জানুয়ারি থেকে যে সমস্ত বিধিনিষেধ জারি করেছে সেখানে পুরভোটগুলির(Corporation vote) কী হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াও শুরু হয়ে গেছে। আবার, করোনার এই পরিস্থিতির মাঝেই পুরভোটের মনোনয়ন ঘিরে কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বিধাননগর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন বিধাননগর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জয়দেব নস্কর(TMC candidate Joydeb Naskar)।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, কোভিড বিধি অগ্রাহ্য করে রীতিমতো মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন তৃণমূল প্রার্থী।
মিছিলে উপস্থিত কর্মী, সমর্থকদের অধিকাংশেরই মুখে ছিল না মাস্ক।
তৃতীয় ঢেউকে রাজ্যে এনেছে তৃণমূলই, দাবি বিজেপির।
‘মনোনয়ন জমা দিতে আমি কাউকে সঙ্গে আনিনি, সল্টলেকের মানুষ নিজে থেকে এগিয়ে এসেছেন’ পাল্টা দাবি করেন তৃণমূল প্রার্থী।