১৩ বছর আগের কথা। তারিখটা ৫ ডিসেম্বর ২০০৪। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ডেম্পো এবং মোহনবাগান…
নিজের নিয়মেই চলছিল ম্যাচ। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধের ৭৮ মিনিটেই বদলে যায় গোটা মাঠের চিত্রটা। বাগান ডিফেন্সকে নাড়িয়ে গোল করে দিয়েছিলেন সদ্য ভারতে পা রাখা এক ব্রাজিলীয় যুবক— ক্রিস্টেয়ানো জুনিয়র। বাগান গোলরক্ষক সুব্রত পাল চেষ্টা করেও আটকাতে পারেননি তাঁকে। ১-০ ম্যাচ ২-০ হয়ে যায়…
কিন্তু, সুব্রতর বাড়ানো হাতের আঘাতে সে দিন মাঠেই স্তব্ধ হয়ে যায় জুনিয়রের জীবন। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। মাঠেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। কী হয়েছিল সে দিন? বল গোলে ঠেলে দেওয়ার পরই গোলরক্ষক সুব্রতর হাত সোজা জুনিয়রের বুকে এসে লাগে। ওখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। গোলের উল্লাস তো দূর অস্ত্, জুনিয়র তখন জীবনে ফেরার মরিয়া চেষ্টায়…
মুহূর্তে ছুটে আসেন র্যান্টি মার্টিন্সরা। দৌড়ে আসেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়রাও। র্যান্টির মুখ তখন নেমে এসেছে জুনিয়রের মুখে। নিজের শ্বাসে সজাগ করতে চাইছেন বন্ধুকে। নেতিয়ে যাওয়া জুনিয়রের শরীরটা মাঠ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন আর সি প্রকাশ। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দেওয়ার কোনও ক্ষমতাই ছিল না জুনিয়রের। অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়। স্ট্রেচারে শুয়ে তাতে করেই প্রিয় মাঠ থেকে চিরবিদায় নিয়েছিলেন ব্রাজিলীয় ওই ফুটবলার। হ্যাঁ, চির বিদায়। কারণ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন সব শেষ। হৃদযন্ত্রের উপর প্রচণ্ড আঘাত লাগার ফলেই মৃত্যু হয়েছিল জুনিয়রের…
এইভাবেই অকালেই হারিয়ে যায় এক তরুণ ফুটবল প্রতিভা.