রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে রাজ্য জুড়ে মঙ্গলবার থেকে খুলে গেল সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (WB school reopening)।

স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অফলাইনে করোনা বিধি মেনে ক্লাস শুরু করা হয়েছে।

একই সঙ্গে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও ক্লাসরুমে গিয়ে পঠনপাঠন শুরু হল।

কিন্তু শুধু এটুকুই নয়, সরকারি নির্দেশিকা মেনে সংশোধনাগারের (Reformatory) অন্দরেও মঙ্গলবার থেকেই শুরু হল ক্লাস।

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৫ জন স্টুডেন্ট ক্লাস করেন।

এদের মধ্যে অনেকেই বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন।

আর এই বন্দি পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে উপস্থিত ছিলেন তিনজন শিক্ষক।

এই শিক্ষকরাও ওই সংশোধনাগারে বন্দিদশা কাটাচ্ছেন।

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলের(National Institute of Open School) তত্ত্বাবধানে মুক্ত বিদ্যালয় চলে সংশোধনাগারের ভিতরে।

প্রায় দেড় বছর ধরে এতদিন করোনা পরিস্থিতির কারণে শ্রেণিকক্ষ বন্ধ ছিল।

রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে আজ,

মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে, তাই পাশাপাশি সংশোধনাগারের ভিতরেও মুক্ত বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু করা হল।’

ইন্দিরা গান্ধী ওপেন ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে সংশোধনাগারে স্নাতকেরও পঠনপাঠন এদিন থেকেই শুরু হয়েছে।

সেখানে ক্লাস করেছেন, ১০জন পড়ুয়া ও ক্লাস করিয়েছেন(school) দু’জন শিক্ষক।

এঁরাও প্রত্যেকে এখন বন্দিদশা কাটাচ্ছেন।সংশোধনাগার সূত্রে খবর, মোট ২৫জন পড়ুয়ার মধ্যে পাঁচ-ছ’জন শাস্তিপ্রাপ্ত বন্দি, যাঁরা এখন কারাদণ্ডে থেকে নিজেদের শাস্তি ভোগ করছেন।

আর যে পাঁচ জন শিক্ষক সংশোধনাগারে শিক্ষকতা(teacher) করেন, তাঁদের মধ্যে তিনজন জীবনের একটা সময়ে শিক্ষক পেশার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।

তাই ফের শিক্ষকতা করেই জীবনের আলো খুঁজছেন।