সর্বভারতীয় স্তরে শক্তি বাড়াতে এবার সংবিধান বদলাচ্ছে তৃণমূল (TMC)।

জাতীয়স্তরে দলের শক্তি বাড়ানো নিয়ে পরামর্শ করতে সোমবার কালীঘাটে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটি।

বৈঠক শেষে রাজ্যসভার তৃণমূলের(TNC) দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন (Derek O’Brien) জানান, এবার সংবিধান বদলাচ্ছে তৃণমূল (TMC)।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।

তার পরেই রয়েছে ২০২৪ এর লোকসভা ভোট। তাই এবার জাতীয়স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুতি নিয়েছে তৃণমূল।

বাইরের একাধিক রাজ্যে নিজেদের শক্তি প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

জাতীয়স্তরের রাজনীতির কথা মাথায় রেখে দলের সংবিধানে পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ানো হবে ওয়ার্কিং কমিটিকে। সেখানে  শুধু বাংলা নয়, তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থান পাবেন ভিন রাজ্যের নেতারাও।

সোমবার বৈঠকের পর ডেরেক বলেন, ‘এখন তৃণমূলের সংবিধান অনুযায়ী ২১ জন রয়েছেন ওয়ার্কিং কমিটিতে।

এই সংখ্যা বাডা়নো হবে। নতুন করে কারা থাকবে, নেত্রীকেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নতুন বেশ কয়েকজনকে কমিটিতে জয়েন করানো হবে।’ ওয়ার্কিং কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে দিল্লিতে।

ডেরেক আরও জানান,’ বাংলা ভারতবর্ষকে মে মাসে খেলা দেখিয়ে দিয়েছে।

২০২৪ সালে সারা দেশকে পথ দেখাবে তৃণমূল। আমরা এখন গ্রোয়িং পার্টি।

মমতাদির লড়াই, কর্মীদের মৃত্যু, গোটা দেশে এই খবর পৌছে যাচ্ছে।

তবে তৃণমূলের ডিএনএ পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু দলের সংবিধান পরিবর্তন করা হচ্ছে।’

পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেব এবং সাংমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী পৃথকভাবে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন যে,

বিরোধী নেতা সহ ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।

তৃণমূলে সদ্য যোগদানকারী ১২ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে আটজন বিধায়ক গারো পাহাড়ের, আর চারজন বিধায়ক খাসি জৈন্তিয়া পাহাড়ের অঞ্চলে রয়েছেন।